সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে?

 সহবাসের পরে গর্ভধারণ নিশ্চিত হতে ৬-১৪ দিন সময় লাগে। ইমপ্লান্টেশন এবং hCG হরমোনের মাত্রা বাড়ার পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়।

সহবাসের পরে গর্ভধারণের জন্য যে প্রক্রিয়া ঘটে, তা ধাপে ধাপে সময়সাপেক্ষ। সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে বা গর্ভধারণ নিশ্চিত হয়, তা এই ধাপগুলোর ওপর নির্ভর করে:

গর্ভধারণের ধাপগুলো এবং সময়সীমা

  1. সহবাস এবং নিষেক (Fertilization):

    • সহবাসের সময় শুক্রাণু যদি ডিম্বস্ফোটনের (Ovulation) সময় ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়, তখন নিষেক ঘটে।
    • শুক্রাণু মহিলার শরীরে ৩-৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে।
    • ডিম্বাণু ডিম্বস্ফোটনের পর ১২-২৪ ঘণ্টা জীবিত থাকে।
    • তাই সহবাসের পর গর্ভধারণের জন্য নিষেক হতে সাধারণত ১-৩ দিন সময় লাগে।
  2. জরায়ুর দিকে ভ্রমণ এবং বিভাজন (Cell Division and Travel):

    • নিষিক্ত ডিম্বাণু (zygote) ডিম্বনালী থেকে জরায়ুর দিকে ভ্রমণ করে।
    • এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৩-৪ দিন সময় লাগে।
  3. ইমপ্লান্টেশন (Implantation):

    • নিষিক্ত ডিম্বাণু (zygote) জরায়ুর দেয়ালে স্থাপন (implant) হয়।
    • এটি সহবাসের পর ৬-১২ দিন সময় নিতে পারে।
    • ইমপ্লান্টেশন সফল হলে গর্ভধারণ নিশ্চিত হয় এবং শরীরে hCG হরমোন তৈরি শুরু হয়।
  4. গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া:

    • ইমপ্লান্টেশনের পরে শরীরে hCG হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা গর্ভধারণের টেস্টে শনাক্ত করা যায়।
    • তাই সহবাসের ১০-১৪ দিন পর গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে।

সহবাসের পর মোট সময়সীমা:

  • সহবাসের পরে গর্ভধারণ নিশ্চিত হতে সর্বনিম্ন ৬ দিন এবং সর্বোচ্চ ১৪ দিন সময় লাগতে পারে।
  • এটি নির্ভর করে মহিলার ডিম্বস্ফোটনের সময় এবং শুক্রাণুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার উপর।

গর্ভধারণ নিশ্চিত করার উপায়:

  1. প্রেগন্যান্সি টেস্ট (Pregnancy Test):

    • সহবাসের ১০-১৪ দিন পর টেস্ট করা উচিত।
    • ঘরোয়া প্রেগন্যান্সি টেস্ট সকালে প্রথম মূত্র দিয়ে করলে ফলাফল নির্ভুল হয়।
  2. রক্ত পরীক্ষা (Blood Test):

    • রক্ত পরীক্ষায় গর্ভধারণ আরও আগে শনাক্ত করা সম্ভব। এটি আরও নির্ভুল।

যদি গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দেয় বা নিশ্চিত হতে চান, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url