সহবাসের কতদিন পর বমি হয়? কেন হয় বিস্তারিত জানুন

 সহবাসের পর বমি হওয়া বা বমিভাব সাধারণত গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। তবে এটি সকল মহিলার ক্ষেত্রে ঘটবে এমন নয়। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বমি বা বমিভাব (যাকে সাধারণত মর্নিং সিকনেস বলা হয়) নির্দিষ্ট সময় পরে দেখা দেয়। এর কারণ এবং সময়কাল সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:


সহবাসের কতদিন পর বমি হতে পারে?

  1. ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর:

    • সহবাসের পর গর্ভধারণ হলে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার জন্য ৬-১২ দিন সময় লাগে।
    • নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হলে (implantation) শরীরে হরমোনের পরিবর্তন শুরু হয়।
  2. হরমোনের প্রভাবে বমি:

    • গর্ভধারণের ৪-৬ সপ্তাহ পর অনেক মহিলার মধ্যে বমি বা বমিভাব দেখা দেয়।
    • কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এটি আরও আগে শুরু হতে পারে, বিশেষত যদি তারা হরমোনের প্রতি সংবেদনশীল হন।

বমি বা বমিভাব কেন হয়?

  • হরমোন পরিবর্তন:
    • গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রোপিন (hCG) এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা বমিভাবের কারণ হতে পারে।
  • ইন্দ্রিয়ের অতিসংবেদনশীলতা:
    • গর্ভধারণের সময় গন্ধ, স্বাদ বা খাদ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়া।

সহবাসের পর বমি অন্য কারণেও হতে পারে

বমি বা বমিভাব গর্ভধারণ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

  • খাদ্যে বিষক্রিয়া।
  • হজমের সমস্যা।
  • মানসিক চাপ বা উদ্বেগ।
  • যেকোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

গর্ভধারণ নিশ্চিত করার উপায়

  1. প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন:

    • সহবাসের ১০-১৪ দিন পর ঘরোয়া প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে পরীক্ষা করুন।
    • সকালে প্রথম মূত্র ব্যবহার করলে ফলাফল সঠিক হতে পারে।
  2. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

    • যদি বমি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
    • রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।

কী করবেন?

  • গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত থাকলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
  • গর্ভধারণ না চাইলে সুরক্ষিত সহবাসের অভ্যাস বজায় রাখুন এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
  • বমিভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url